Print
Hits: 432

 

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন এই পরীক্ষাটির আয়োজন করে থাকে।  বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন থেকেই বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশিত হয়। বিসিএস পরীক্ষার সিলেবাস ও মানবন্টন সম্পর্কে  জেনে নেওয়া যাক।

বিসিএস পরীক্ষা ৩ টি ধাপে হয়।

১ম ধাপঃ প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায়  ২০০ নম্বর থাকে।

২য় ধাপঃ লিখিত পরীক্ষা। ৯০০ নম্বরের এই পরীক্ষায় গড় পাস নম্বর  ৪৫০।

৩য় ধাপঃ ভাইভা পরীক্ষা। ভাইভা তে ২০০ নম্বর থাকে।

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস-

এই পরীক্ষায় মোট ১০ টি বিষয়ে ২০০ নম্বর থাকে।

১।বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – ৩৫

২। English Language and Literature – 35

৩।বাংলাদেশ বিষয়াবলি – ৩০

৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি – ২০

৫।সাধারণ বিজ্ঞান – ১৫

৬।কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি – ১৫

৭।গাণিতিক যুক্তি – ১৫

৮।মানসিক দক্ষতা – ১৫

৯।নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন – ১০

১০।ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্বঃ) পরিবেশ ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা – ১০

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – মোট নম্বর ৩৫

বাংলা ভাষা (নম্বর ১৫)

বাংলা সাহিত্য (নম্বর ২০)

English Language & Literature – Total Number 35

PART- I: Language -20

  1. Parts of Speech:
  1. Idioms & Phrases:
  1. Clauses:
  1. Corrections:
  1. Sentences & Transformations:
  1. Words:
  1. G. Composition:

PART- II: Literature -15

  1. English Literature:

বাংলাদেশ বিষয়াবলী – মোটনম্বর ৩০

বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী

বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ

বাংলাদেশের জনসংখ্যা

বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য

বাংলাদেশের সংবিধান

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা

বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা

বাংলাদেশেরজাতীয়অর্জন

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী – মোটনম্বর ২০

সাধারণ বিজ্ঞান – মোটনম্বর ১৫

১ম অংশ: ভৌত বিজ্ঞান (নম্বর ৫)

জীববিজ্ঞান (নম্বর ৫)

আধুনিক বিজ্ঞান (নম্বর ৫)

কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি – মোটনম্বর ১৫

কম্পিউটার (১০ নম্বর)

তথ্যপ্রযুক্তি (৫ নম্বর)

গাণিতিকযুক্তি – মোটনম্বর ১৫

পাটিগণিত (৩ নম্বর)

বীজগণিত (৬ নম্বর)

জ্যামিতি (৩ নম্বর)

বিচ্ছিন্নগণিত (৩ নম্বর)

মানসিক দক্ষতা – মোটনম্বর ১৫

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন – মোটনম্বর ১০ (ETHICS, VALUES & GOOD GOVERNANCE)

ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা – মোট নম্বর ১০

প্রিলিমিনারি বিসিএস সিলেবাস অনুসারে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয়।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিসিএস সিলেবাসঃ

# লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও নম্বর বণ্টন : মোট নম্বর ৯ ০০

লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ ও প্রফেশনাল ক্যাডারের জন্য ভিন্ন সিলেবাস থাকে। প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারে; যেমনঃ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়। কেউ ডাক্তার হতে চাইলে ডাক্তারি অতিরিক্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবেন।

(১) সাধারণ ক্যাডারের জন্য :


(১। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি= ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি = ১০০ নম্বর

(২) প্রফেশনাল বা টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য :

১। বাংলা প্রথম পত্র= ১০০ নম্বর
২। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র (১০০+১০০)= ২০০ নম্বর
৩। বাংলাদেশ বিষয়াবলি= ২০০ নম্বর
৪। আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০ নম্বর
৫। গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা (৫০+৫০)= ১০০ নম্বর
৬। স্নাতকে পঠিত বিষয়= ২০০ নম্বর

প্রতিটি ২০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৪ ঘণ্টা।
প্রতিটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা।
লিখিত পরীক্ষায় গড় পাস মার্ক ৫০%। অর্থাৎ ৯০০ নম্বরের মধ্যে সব বিষয় মিলিয়ে ৪৫০ নম্বর পেলেই আপনি ভাইভার জন্য নির্বাচিত হবেন।

তবে কোন প্রার্থী চাইলে একই সাথে সাধারণ এবং প্রফেশনাল ক্যাডারে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় সাধারণ ক্যাডারের বিসিএস সিলেবাস অনুযায়ী ৯০০ নম্বরের সাথে প্রফেশনাল ক্যাডারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ তখন ঐ প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষায় মোট ১১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিবেন। উভয় ক্যাডারে পাশ করতে হলে ১১০০ নম্বরের ৫০% মানে ৫৫০ পেতে হবে।

ভাইভা পরীক্ষার বিসিএস সিলেবাস ও মানবন্টনঃ

ভাইভা পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোন সিলেবাস নেই। ভাইভা বোর্ডে সাধারণত নিজের সম্পর্কে, নিজের জেলা সম্পর্কে, অনার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়।
এছাড়াও সমসাময়িক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রার্থীর প্রদত্ত ক্যাডার পছন্দক্রম থেকে বিভিন্ন ক্যাডার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
ভাইভাতে মোট ২০০ নম্বর থাকে। পাশ মার্ক ৫০%। মানে ১০০ পেলেই আপনি ভাইভায় পাশ করবেন।
লিখিত ও ভাইভায় প্রাপ্ত মোট নম্বর অনুযায়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন।