প্রথম আলো ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২২, ০৮: ১৮

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে ভবনে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে কাজ করছে। বাইরের তুলনায় ঘরের ভেতরে আটকে থাকা বাতাসে এই ভাইরাস বেশি সময় টিকে থাকে। ফলে ঘরের ভেতরে অবস্থানকালে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। কৃত্রিম উপায়ে বায়ু চলাচল বা প্রাকৃতিকভাবে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিতের মাধ্যমে ভবনে বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে এই ঝুঁকি কমানো যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক যৌথ গবেষণায় অংশ নিয়ে আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীরা ঢাকার নয়টি হাসপাতালের ৮৬টি জায়গায় বায়ু চলাচলের হার এবং করোনাভাইরাসের উপস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তাঁদের গবেষণায় বায়ু চলাচলের সঙ্গে ভাইরাসের উপস্থিতির সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে।

অপেক্ষাকৃত অনুন্নত হাসপাতালের ভবনে বায়ু চলাচলের কৃত্রিম ব্যবস্থা থাকে না। এসব হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে আবার অনেক রোগী চিকিৎসাধীন থাকেন।
বায়ু চলাচল শুধু একটি কক্ষের গঠন এবং বাইরের সঙ্গে সেটার সংযোগের ওপর নির্ভর করে না। সেখানে কত মানুষ আছেন, তার ওপরও নির্ভর করে। গবেষকেরা হাসপাতালের ওই সব ওয়ার্ড বা কক্ষের প্রতিটিতে অবস্থানরত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে কার্বন ডাই–অক্সাইড পরিমাপের মিটার দিয়ে বায়ু চলাচলের হার পরিমাপ করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে, সে জায়গাগুলোতে বায়ু চলাচলের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত মান ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশের কম ছিল। এতে ওই সব জায়গায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থেকে যায়।

গবেষকেরা ভাইরাস কণার উপস্থিতি শনাক্ত করতে হাসপাতাল থেকে বাতাসের নমুনাও সংগ্রহ করেছেন। তাতে দেখা গেছে, কোভিড নির্ধারিত এলাকার তুলনায় নন-কোভিড জায়গাগুলোতে ভাইরাসের উপস্থিতির আশঙ্কা বেশি। এর একটি কারণ হতে পারে, কোভিড নির্ধারিত এলাকায় কম রোগীদের রাখা হয়, যার ফলে বায়ু চলাচলের হার কিছুটা ভালো থাকে।

স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নন-কোভিড এলাকায় পিপিই ব্যবহারের প্রবণতা কম বলে গবেষকদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। ১১টি নন-কোভিড বহির্বিভাগ ও ওয়ার্ডের বাতাসের নমুনায় ৫টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গবেষক দলের প্রতিনিধি হিসেবে আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট বদরুল আমিন বলেন, স্বাস্থ্যসেবার যেসব জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে, সেগুলোতে যত দূর সম্ভব জানালা-দরজা খোলা রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া বায়ু চলাচল বাড়ানোর জন্য ‘এগজোস্ট’ ফ্যান লাগানো যায়। নির্দিষ্ট স্থানে মানুষের উপস্থিতি সীমিত করাও এখানে ভূমিকা রাখবে।

DISCLAIMER : Views expressed above are the author's own. The contents provided here are only for educational assistance & information purposes only. Information is provided without warranty and is to be used at the risk of the reader. All trademarks, logos and copyright issues are property of their respective owners. The creator of this page takes no responsibility for the way you use the information provided on this site.