আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান। রোববার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রি‌ফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। 

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। এছাড়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এ সিনিয়র সচিব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে মামলা রয়েছে, রিট রয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা করছি। বদলিটা আমরা সম্পূর্ণ অনলাইনে নিয়ে গেছি। এখন আমরা চেষ্টা করছি, যেসব কর্মকর্তা কোনো প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কিংবা ১২ বছর ধরে আছেন, তারা স্বাভাবিকভাবে তিন বছর পরপর বদলি হবেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেও বদলি করা যাবে, প্রশাসনিকভাবেও বদলি করা যাবে। বদলির ক্ষেত্রে আমরা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

স‌চিব ব‌লেন, দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে একটি শিফটে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এতে, কোনো শিক্ষকের চাকরি হারানোর ভয় নেই। আগামী বছ‌রের জানুয়া‌রি থে‌কে এটা কার্যকর ক‌রতে পারব। এছাড়া আগামী ১ জানুয়ারিতেই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হবে বলেও জানান সিনিয়র সচিব।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর। প্রথমে ৩২ হাজারের বেশি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। পরে অবসরের কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। 

এ জন্য একসঙ্গে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল থেকে তিন ধাপে ৬১ জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন

‘২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ উচ্চশিক্ষিত হবে’

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ফল কবে, জানাল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর

সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের শীর্ষে বাংলাদেশিরা