আগামী তিন মাসের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে সাড়ে ৪০০ জনকে এমপিওভুক্ত করা হবে। এজন্য দ্রুত গতিতে কাজ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) নিজ দপ্তরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা দেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. ওমর ফারুক।তিনি বলেন, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এমপিও দিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে এর জন্য অধিদপ্তর দায়ী নয়। কেননা শিক্ষকদের ৩২ ধরনের কাগজ জমা দিতে হয়। এই কাগজগুলো আমরা যাচাই করি। অনেক সময় যে কাগজ চাওয়া হয় সেগুলো পাওয়া যায় না। তখন শিক্ষকদের আবার কাগজপত্র জমা দিতে হয়।


ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, শিক্ষকরা বেতন ছাড়া চাকরি করবে সেটি আমরাও চাই না। তবে আমরা নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারি না। অনেক প্রতিষ্ঠানে এডহক নিয়ে সমস্যা ছিল। সেজন্য আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত করতে পারিনি। তবে সম্প্রতি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা এসেছে। ফলে এখন এই শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে অসুবিধা হবে না।


ডিজিটাল যুগে এনালগ পদ্ধতিতে এমপিওভুক্ত করার কারণ জানতে চাইলে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, দেখুন আমরা চাইলেই কোনো কিছু করতে পারি না। এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া অটোমেশনে করার কাজ চলছে। এজন্য আমরা একটি সফটওয়্যার বানাচ্ছি। সরকারে র আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এটি করা হচ্ছে। তবে এই সফটওয়্যার এখনো ট্রায়াল অবস্থায় রয়েছে। যারা এমপিওভুক্তির আবেদন করবেন তারা যেন সঠিকভাবে সবকিছু করতে পারেন সেজন্য কিছুটা দেরি হচ্ছে।


তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত করা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সব শিক্ষক যেন এমপিওভুক্ত হতে পারেন আমরা সেই চেষ্টা করছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার টার্গেট নিয়েছি। শিক্ষকরা সব কাগজ সঠিকভাবে জমা দিলে আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না।


আরও পড়ুন


চতুর্থ শিক্ষক গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নভেম্বরেই


নন-ক্যাডারের শূন্য পদ নির্দিষ্ট করল জনপ্রশাসন, বেশি ৪০তম বিসিএসে


বাড়ির কাছের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পেতে যাচ্ছেন ৩০০ শিক্ষক