প্রথম সংশোধনী (১৫ জুলাই , ১৯৭৩)

যুদ্ধাপরাধীসহ অন্যান্য গণবিরোধীদের বিচার নিশ্চিত করা

দ্বিতীয় সংশোধনী (২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩)

অভ্যন্তরীণ বা বহিরাক্রমণ ফোলযোগে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন হলে সে অবস্থায় 'জরুরী অবস্থা' ঘোষণার বিধান

তৃতীয় সংশোধনী (২৩ নভেম্বর, ১৯৭৪)

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়িকে ভারতের নিকট হস্তান্তরের বিধান

চতুর্থ সংশোধনী (২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫)

সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন

পঞ্চম সংশোধনী (৫ এপ্রিল, ১৯৭৯)

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের সামতিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতীয় কর্মকান্ডের বৈধতা দান

ষষ্ঠ সংশোধনী (৮ জুলাই, ১৯৮১)

উপ-রাষ্ট্রপতি পদ থেকে রাষ্ট্রপতি  পদে নির্বচনের বিধান

সপ্তম সংশোধনী (১০ নভেম্বর, ১০৮৬)

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক আইন বলবৎ থাকাকালীন সময়ে প্রণীত সকল ফরমান, জপ্রধান সামরিক আইন প্রশসকের আদেশ, নির্দেশ, আধ্যাদেশসহ আন্যান্য আইন অনুমোদন

অষ্টম সংশোধনী (৭ জুন, ১৯৮৮)

রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলামকে স্বকৃতিদান এবং ঢাকার বাইরে ৬ টি জেলায় হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন; Dacca এর নাম Dhaka এবং Bangali এর নাম Bangla পরিবর্তন করা হয়

নবম সংশোধনী (১০ জুলাই, ১৯৮৯)

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সাথে একই সময় উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যক্তিকে পর পর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখা

দশম সংশোধনী (১২ জুন ১৯৯০)

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের  মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩(২) অনুচ্ছেদের বাংলা ভাষ্য সংশোধন ও সংসদে মহিলাদের ৩০ টি আসন আরো ১০  বছরকালের জন্য সংরক্ষণ

একাদশ সংশোধনী (৬ আগষ্ট, ১৯৯১)

অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমের স্বপদে ফিরে যাবার বিধান

দ্বাদশ সংশোধনী (৬ আগষ্ট, ১৯৯১)

সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রবর্তন

ত্রয়োদশ সংশোধনী (২৭ মার্চ, ১৯৯৬)

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য  নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন

চতুর্দশ সংশোধনী (১৬ মে, জ২০০৪)

নারীদের জন্য ৪৫ আসন সংরক্ষণ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংরক্ষণ, অর্থ বিল, সংসদ সদস্যদের শপথ, সাংবিধানিক বিভিন্ন পদের বয়স বৃদ্ধি

পঞ্চদশ সংশোধনী (৩০ জুন, ২০১১)

প্রস্তাবনার সংশোধন, '৭২-এর মূলনীতি পুনর্বহাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত, নারীদের জন্য ৫০ আসন সংরক্ষণ, ইসি'র ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি

  ষোড়শ সংশোধনী (২২ সেপ্টম্বর, ২০১৪)

একজন বিচারক ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন। প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে রাষ্ট্রপতির আদেশে কোনো বিচারককে অপসারণ করা যাবে। বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য সম্পর্কে তদন্ত ও প্রমাণের পদ্ধতি সংসদ আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করবে। এ ছাড়া কোনো বিচারক রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন।