বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার প্রশ্ন-সিলেবাসে পরিবর্তন আসতে পারে। পুরোনো সিলেবাস নতুন করে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করে প্রণয়ন করা হতে পারে। মৌখিক পরীক্ষাতেও বড় পরিবর্তন আনা হবে বলে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) সূত্রে জানা গেছে।

পিএসসি থেকে জানা গেছে— বিসিএস পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে এটি কার্যকর করা হবে। বিজ্ঞপ্তির মধ্যে সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে দেওয়া হবে। এ বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্ন পদ্ধতি ও সিলেবাসে পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

জানা গেছে— নতুন প্রশ্ন কি ধরনের হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন মডারেটরদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। পরীক্ষার সিলেবাসের নতুন কিছু বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন করার কথাও ভাবা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসে কি কি যুক্ত ও বাদ দেয়া হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন মডারেটররা কাজ শুরু করেছেন। সিলেবাসের একটি খসড়া তৈরি করে পিএসসিতে দেওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, বিসিএস পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪৫তম বিসিএস থেকে সেটি কার্যকর করার চেষ্টা থাকবে। এ বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি ও সিলেবাসে কী কী পরিবর্তন করা যায় সেটি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মৌখিক পরীক্ষা কীভাবে মানসম্মত করা যায় সেটি নিয়েও কাজ করা হবে।

তিনি বলেন, মৌখিক পরীক্ষার জন্য একটি মডেল রূপরেখা ভাইবা কমিটির সদস্যদের দেওয়া হবে। এর আলোকে তারা প্রশ্ন ও মূল্যায়ন করবেন। ৪৫তম বিসিএসে শুধু ক্যাডার নির্বাচন নয়, ননক্যাডার পদেও নির্বাচন দেওয়ার সুযোগ থাকবে। প্রার্থী আবেদন করার সময় ননক্যাডার পদ নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন। এর ভিত্তিতে কেউ ক্যাডার পদে সুযোগ না পেলে নির্বাচিত পদে নিয়োগের সুযোগ পাবেন।

পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ক্যাডার ও ননক্যাডার পদে প্রার্থীরা একই ফরমেটে পরীক্ষা দিয়ে থাকে। ক্যাডাদের পছন্দের বিভাগ পছন্দ করার সুযোগ থাকলেও ননক্যাডার পদে সে সুযোগ দেওয়া হয় না। এ স্তরে আবেদন করার সময় বিভাগ নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হবে।

পিএসসির পরীক্ষা শাখা থেকে জানা গেছে— নির্ভুলভাবে বিসিএসের খাতা দেখে মূল্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২১ দিনের মধ্যে ২০০ খাতা পরীক্ষকরা মূল্যায়ন সময় দেওয়া হলেও কেউ কেউ অনেক বিলম্বে উত্তরপত্র জমা দেন। অনেক খাতায় বৃত্ত ভরাটসহ নানা ধরনের ভুলভ্রান্তি ধরা পরছে। সেগুলো পরীক্ষকের কাছে পুনরায় পাঠিয়ে আবারো সংশোধন করা হয়ে থাকে। ৪১তম বিসিএসে ৩১৮ পরীক্ষকের গাফিলতি বা দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেয়েছে পিএসসি।

পরীক্ষকদের এমন অবহেলা রোধে, খাতা মূল্যায়নে ভুলের পুনরাবৃত্তি না হতে গত ২৮ আগস্ট থেকে নিয়মিত ব্রিফিং ও সেমিনারের আয়োজন করছে পিএসসি। সেখানে ধাপে ধাপে পরীক্ষকদের ডেকে খাতা মূল্যায়নে যেসব ভুল চিহ্নিত হয়েছে তা দেখানো হচ্ছে। যারা সেমিনারে আসছেন শুধু তাদের ৪৩তম বিসিএসের লিখিত ১০০টি খাতা মূল্যায়ন করতে দেওয়া হচ্ছে।

সুত্র-জাগো নিউজে