১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মানুষের ওপর দুই বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, ডেলাইট সেভিং টাইম চলাকালে যখন মানুষের ঘুমের সময় এক ঘণ্টা কমে যায়, তখন হার্ট অ্যাটাকের পরিমাণ ২৪% বেড়ে যায়।

টানা ১৬ ঘণ্টা নির্ঘুম কাটালেই মানুষ মানসিক ও শারীরতাত্ত্বিকভাবে ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৯ থেকে ২০ ঘণ্টা টানা না ঘুমিয়ে থাকলে কারো মানসিক ও শারীরিক অবস্থা মাতালের সমতল হয়ে দাঁড়ায়। আর এসব কাটিয়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন দিনে গড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুম।

বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের প্রয়োজনীয় সময় ভিন্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র অনুযায়ী 

৬ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

 ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।

 ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

 ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭-৮ ঘণ্টা।

 অনেকেই এর চেয়ে কম ঘুমিয়েও সুস্থ থাকতে পারেন। তবে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সাইকোলজি ও নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ম্যাথিউ ওয়াকারের মতে, ঘুম কম হলে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতার।

ওয়েবমেড পোর্টালে স্লিপ সাইকেল সেন্টারের স্লিপ স্পেশালিস্ট শ্যাড ডেনম্যান বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া আর মৃত্যুর মধ্যে সরাসরি সংযোগ রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি করে মৃত্যু ঘটাতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়া। যারা এ সমস্যায় ভোগে তাদের ৩০ শতাংশের হার্ট অ্যাটাক অথবা আগে আগে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করতে দেখা যায় ৫৫ বছর বয়সে।নার্সটুগেদারের নার্স এডুকেটর ড. জেন্না লিফার্ট রোডস বলেন, স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে সরাসরি আক্রান্তের মৃত্যুও হতে পারে। কারণ এর ফলে দীর্ঘ বিরতিতে শ্বাস নিলে অক্সিজেনের অভাবে হূিপণ্ড বা মস্তিষ্কের কোষ মৃত্যুবরণ করতে পারে। তাতে করে ভয়াবহ হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক হতে পারে।

এছাড়া এর কারণে আরো নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যার মধ্যে রয়েছে থাইরয়েডের রোগ, হাইপারটেনশন, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ইত্যাদি। এসবই মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো সফলভাবে চিকিৎসা করলে স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে তৈরি হওয়া মৃত্যুঝুঁকি রোধ করা যায়।

 আরও পড়ুন

যেসব খাবার কোনোদিনও খাওয়া যাবে না

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৬৩ শতাংশ পুরুষ যৌন সমস্যায় ভোগেন

যেসব জিনিস ভুলেও মাইক্রোওয়েভে দেবেন না