০১. mathematics শব্দের উৎপত্তি গ্রিক শব্দ mathema থেকে, যার অর্থ লার্নিং, স্টাডি বা সায়েন্স।
০২. dyscalculia নামে গণিতসংশ্লিষ্ট একটি শব্দ আছে। এর অর্থ পাটিগণিত শেখার অসুবিধা, অর্থাৎ সংখ্যা ও গণিত তথ্য জানা-বোঝার অসুবিধা।

০৩. আমেরিকায় ‘ম্যাথেম্যাটিকস’ পরিচিত ‘ম্যাথ’ নামে। এরা বলে, ‘ম্যাথেমেটিকস’ শব্দের মতো ‘ম্যাথ’ শব্দটিও একবচন।
০৪. আপনি কি জানেন ‘Mathematics’ হচ্ছে ‘me asthmatic’-এর একটি anagram। উল্লেখ্য, অ্যানাগ্রাম হচ্ছে একটি শব্দ বা বাগধারা, যা তৈরি করা হয় অন্য শব্দ বা বাগধারার বর্ণ এদিক-ওদিক করে কিংবা পরস্পর স্থান পরিবর্তন করে।
০৫. জন্তুর হাড়ের ওপর কাটা খাঁজ বা কাটা দাগ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় মানুষ গণিত ব্যবহার শুরু করে ৩০ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।

  • সানজানা চৌধুরী
  • বিবিসি বাংলা, ঢাকা
  • "আমার বয়স যখন ১৪ বছর, তখন আমার গণিতের শিক্ষক বাবা-মাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে বলেছিলেন যে আমি গণিতে কাঁচা এবং আমার গণিত পড়ার কোন মানে নেই।"
  • বিবিসির কাছে নিজের এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ড. লিবার্টি ভিটার্ট। এই নারী যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটি (ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি) থেকে গণিতের ওপর পিএইডি ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন।
  • বর্তমানে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন তিনি।
  • গণিতের প্রতি এই ভয়ে আক্রান্ত সারাবিশ্বের অসংখ্য মানুষ। কিন্তু দেখা গিয়েছে এই ভয়কে জয় করেই গণিতের সর্বোচ্চ পদক ফিল্ডস মেডেল অর্জনের উদাহরণও কম নেই।
  • ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এ্যাসেসমেন্ট, ৩৪টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখেছে ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৩১% কিশোর কিশোরী গণিত নিয়ে ভীষণ উদ্বেগে থাকে এবং ৬০% গণিতের ক্লাস করতেই উদ্বেগে ভোগে।
  • সাধারণত শিশু ও মেয়েদের মধ্যে গণিত নিয়ে ভীতির হার তুলনামূলক বেশি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রাপ্তবয়স্করাও এই গণিত ভীতি নিয়ে জর্জরিত।
  • কিন্তু এই ভীতির কারণ কী, আর এর সমাধানই বা কী?

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ

গণিত বিভাগ,

ঢাকা ‍বিশ্ববিদ্যালয়।

 

2) √3 এবং 4 এর মাঝে দুটি মূলদ এবং দুটি অমূলদ সংখ্যা নির্ণয় কর।

[একটি মূলদ ও একটি অমূলদ বা দুটি মূলদ বা দুটি অমূলদ সংখ্যার মাঝে অসংখ্য মূলদ এবং অমূলদ সংখ্যা  রয়েছে।]

√3=1.7320508…..

 4=4.0000000……

মনে করি, ‍ক=1.74 এবং খ=4.12। স্পষ্টত: √3<ক<4 এবং √3<খ<4 [ক এবং খ এর মান যে কোন কিছু ধরা যাবে, তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, মান গুলো অবশ্যই প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর মাঝে থাকতে হবে এবং দুটি পূর্ণ সংখ্যার ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যাবে।]

সুতরাং, ক এবং খ সংখ্যা দুটি মূলদ সংখ্যা।

আবার মনে করি,

গ=1.742356………এবং ঘ=4.123589……… ,

যার মধ্যে দশমিকের পর পুনরাবৃত্তি কোন অঙ্ক বা সংখ্যা নেই। এবং এদের দুটি পূর্ণ সংখ্যার ভগ্নাংশ আকারে ও প্রকাশ করা যায় না।

স্পষ্টত: √3<গ<4 এবং √3<ঘ<4 [গ এবং ঘ এর মান যে কোন কিছু ধরা যাবে, তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, মান গুলো অবশ্যই প্রদত্ত সংখ্যাগুলোর মাঝে থাকতে হবে।]

সুতরাং, গ এবং ঘ সংখ্যা দুটি অমূলদ সংখ্যা।