বাংলাদেশ বর্তমানে অন্তত সাতটি সংকটে আছে বলে মনে করেছে বেসরকারি গবেষণষা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। তাদের চোখে, বাংলাদেশ যে সংকটে রয়েছে সেগুলো হলো- ডলারের ঘাটতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের দামবৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড-১৯ মহামারি এবং জলবায়ু পরিবর্তন।

 বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।  সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংকটগুলোকে আমরা ৭টি ভাগে ভাগ করেছি। এসব সংকটের মধ্যে ডলার, জ্বালানি, মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের কারণে অন্যান্য সংকটগুলো আরও ঘণীভূত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ওই সাত সংকট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস দেখা গেছে। বিশ্বজুড়েই মূল্যস্ফীতি ঐতিহাসিকভাবেই ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধি হয় নিচে অথবা নেতিবাচক দিকে রয়েছে। আমরাও সেই প্রভাব অনুভব করছি। এই সংকটটি চললাম ও ঘনীভূত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি লাগামগীন। আন্তর্জাতিক পণ্যের দামও বেশি। আবার দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও বেশি। খাদ্য সংকটেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এফএও (খাদ্য ও কৃষি সংস্থা) পৃথিবীর ৪৫টি দেশ খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছে বলে জানিয়েছে, এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিপিডির গবেষণা বলছে- ঢাকা শহরে যারা বসবাস করছেন তাদের খাদ্যপণ্যের তালিকার ১৯টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য রয়েছে। যা মানুষের ভোগের মধ্যে সব থাকে। ঢাকায় ৪ সদস্যের একটি পরিবারের অত্যাবশ্যকীয় সব খাদ্যসহ সার্বিক খরচ ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ১৭ হাজার ৫৩০ টাকা, যা ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবরের খাদ্যপণ্যের মূল্য বিবেচনায় খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪২১ টাকা।

অন্যদিকে, যদি মাছ ও মাংস বাদ দিয়ে ‘কম্প্রোমাইজ ডায়েট’ হিসেবে ৪ সদস্যের পরিবারের ন্যূনতম খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। যা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ছিল ৬ হাজার ৫৪১ টাকা।

খাদ্য মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্কের হার কমাতে পারলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমে আসত বলে উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন

সড়কে প্রতিদিন ১৭ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে

বিনা পারিশ্রমিকে ১২০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন করলেন ডা. কামরুল

কোটায় প্রধান শিক্ষক হবেন প্রাথমিকের ৬৫ শতাংশ শিক্ষক