এখন থেকে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের প্রবাসী পেশাজীবীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ১০৭ টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো আপাতত রেমিট্যান্স আহরণ বাবদ কোনো চার্জ বা মাশুলও নেবে না বলে জানা গেছে।

ফলে হোয়াইট কলার ওয়েজ আর্নাররাও ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা করে পাবেন। রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।এতদিন তাদের রপ্তানি দর অনুযায়ী ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করে দেয়া হতো।সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

‘হোয়াইট কলার’ চাকরি বলতে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যাংকার, নার্সসহ উচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের বোঝায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম, এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী 'হোয়াইট কলার' ওয়েজ আর্নার হিসেবে প্রবাসীদের মতো রেমিট্যান্স দর পাওয়ার কথা।

৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাফেদার ওপর ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

১২ সেপ্টেম্বর এবিবি ও বাফেদা ডলারপ্রতি রেমিট্যান্স, রপ্তানি নির্দিষ্ট করে দেয়। তখন রেমিট্যান্স ঠিক হয় সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা, যা গত ১৩ সেপ্টেম্বর কার্যকরের ঘোষণা দেয়।

আরও পড়ুন

এবার রেকর্ড সংখ্যক মা ইলিশ ডিম ছেড়েছে

এরপর দুই দফা বৈঠকে রেমিট্যান্স দর ১ টাকা কমিয়ে ১০৭ টাকা করা হয়৷ যেটা বর্তমানে কার্যকর আছে।

বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত ওয়েজ আর্নার্সদের মধ্যে কোনো পার্থক্য ছিল না।

এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী ও সেবিকাদের আয় ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালেও এখন থেকে তারাও ওয়েজ আর্নার্সদের মতো সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দর পাবেন।

এতদিন হোয়াইট কলার জবে সম্পৃক্তরা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালেও তারা রপ্তানি বিল হারে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা করে পেতেন।’

তিনি বলেন, ‘এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোতে তাদের শুধু ১০৭ টাকা দরে দেয়া হতো।'

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের এক্সচেঞ্জ হাউস বিদেশে খোলার জন্য সহজতর করে দিয়েছে। রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য বিদেশে প্রচার-প্রচারণা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি কিছু মাশুল ছাড় দেয়া যায় কি না, সেটা নিয়েও আলাপ হয়েছে।'

বিনিময় হারের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে এর আগে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছিলেন ‘বর্তমান বিনিময় হার নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি সাময়িক। তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হার নির্ধারণে একটি ইউনিফাইড ফর্মুলা নির্ধারণ করবে।’

তারই অংশ হিসেবে রিজার্ভ বাড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

Source-nb 24.com

আরও পড়ুন

আইনের শাসনে ১৪০ দেশের মধ্যে ১২৭তম অবস্থানে বাংলাদেশ

সিপিডির পর্যবেক্ষণে ৭ সংকটে বাংলাদেশ

সড়কে প্রতিদিন ১৭ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে