পড়ালেখা ও গবেষণার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে সুর্যোদয়ের দেশ জাপান বেশ এগিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী জাপানে পড়ালেখা ও গবেষণার জন্য যেয়ে থাকেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি গত কয়েক বছর ধরে সফলতার সঙ্গে পড়াশোনা করছেন জাপানে। জাপানে প্রায় ৭০০ বিশ্ববিদ্যালয় আছে। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকার প্রথম ৫০টির মধ্যে আছে জাপানের দ্য ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও। 

“মেক্সট স্কলারশিপ” এর আওতায় আইইএলটিএস-টোয়েফল এবং  টিউশন ফি ছাড়াই টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ও তিন বছর মেয়াদি পিএইচডি করতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন শেষ সময় ৩১ অক্টোবর।

 

জাপানে পড়াশোনার জন্য অন্যতম একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট’ (এমইএক্সটি)। শব্দটি প্রকৃতপক্ষে মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমইসিএসএসটি)। বড়সড় শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো মেক্সট।

আরও পড়ুন: 

আইইএলটিএস ছাড়াই বেলজিয়ামের সেরা পাঁচ স্কলারশিপ

১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে বিশ্বের ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত। এ বৃত্তির জন্য ভিসা পেলে ভিসায় লেখা থাকে ‘গভট. স্কলার’। জাপানের গবেষণার মাধ্যমে বৃত্তি প্রাপ্তির দেশ এবং জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হয়ে ওঠা মানবসম্পদকে উৎসাহিত করা এবং উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যেই দেওয়া হয় এ বৃত্তি।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের নিজ নিজ দেশ থেকে জাপানে আসার জন্য ও ঠিক সময়ে ডিগ্রি শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া ‘মেক্সট’ বহন করে থাকে। অন্যান্য অনেক বৃত্তিতেই এই সুবিধাটা সচরাচর থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোরকম টিউশন ফি, পরীক্ষা ফি বা অন্যান্য কোনো ফি দিতে হয় না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় ফি মওকুফ আর পাবলিক বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি আর অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করে দেশটির শিক্ষা, প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: 

সুযোগ-সুবিধা—
• টিউশন ফি প্রদান করবে।
• আবেদনের জন্য লাগবে না কোন ধরনের ফি।
• আসা-যাওয়ার বিমান খরচ প্রদান করবে।
• শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর দেখাতে হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা ও পরীক্ষা হয়েছে, সেটির প্রমাণ লাগবে। 

যোগ্যতাসমূহ— 
• আন্তর্জাতিক ছাত্র হতে হবে।
• আবেদনকারীদের অবশ্যই ১৯৮৯ সালের ২ এপ্রিলের পরে জন্মগ্রহণ করতে হবে।
• এখন থেকে পূর্ববর্তী ২ বছরের একাডেমিক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৩-এর মধ্যে অন্তত ২.৩০ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: 

কানাডার ৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তির সুযোগ