শরীরে মিনারেলের অভাব দেখা দিলে আয়রনের ঘাটতিও দেখা দেয়। আয়রনই শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে

শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর এসব সমস্যায় বেশি ভোগেন নারীরা। শরীরে মিনারেলের অভাব দেখা দিলে আয়রনের ঘাটতিও দেখা দেয়। আয়রনই শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে। এদিকে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে সেখান থেকে আসে কিডনির সমস্যা।

জেনে নিন এমন ৭ খাবার সম্পর্কে, যেগুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করবে-

লেবু

লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। নিয়মিত লেবুর পানি পান দুর্বলতা কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও কাজ করে। আয়রন শোষণেও কাজ করে লেবু। তাই নিয়মিত লেবু খেতে হবে।

সোভেরেন ল্যাবরেটোরিজ ডটকম’য়ের পুষ্টিবিদ অ্যালিসিয়া গ্যালভিন বলেন, “একটি লেবুতে প্রায় ২০ মি.লি. গ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা দৈনিক ভিটামিন সি’র চাহিদার ২০%।”

ডাল

অধিকাংশ মানুষের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে ডাল। আয়রনে সঙ্গে ডাল থেকে পাবেন ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক। এছাড়াও এক কাপ ছোলায় রয়েছে তিন থেকে পাঁচ মিলিগ্রাম আয়রন। সিদ্ধ ডালের পানি প্রতিদিন খেলে উপকার পাবেন।

সয়াবিন

সয়াবিন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সেলেনিয়ামের ভালো উৎস। নিয়মিত সয়াবিন খেলে হার্টের অসুখ, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ভালো থাকে হাড়ের স্বাস্থ্যও।

আপেল

আপেলের আছে অনেক গুণ। আপেলে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি। একটি মাঝারি আকারের আপেলে রয়েছে ০.৩১ মিলিগ্রাম আয়রন। এটি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। ডেজার্ট, সালাদ অথবা স্মুদি তৈরিতে আপেল ব্যবহার করতে পারেন।

ড্রাই ফ্রুট

প্রতিদিন সকালের খাবারের সঙ্গে কিশমিশ, অ্যাপ্রিকট, কাজু বা আমন্ড খেতে পারেন। এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যা শরীরকে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। সকালের খাবার ছাড়াও দিনের অন্য সময় এক মুঠো বাদাম আপনার আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারে।

খেজুর

খেজুর আয়রনের খুব চমৎকার একটি উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬। খেজুরের মধ্যে রয়েছে আঁশ। এটিও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।