দেশে গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে প্রতিদিন ১৭ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। একই সঙ্গে গত ১০ বছরে সড়কে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ, সেবক ও ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টার আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সংলাপে’ সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন গবেষক কাজী আবুল আল আতাহিয়া।  

সংলাপে সড়ক দুর্ঘটনার এক বার্ষিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন,২০২১ সালে ৫ হাজার ৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ২৮৪ জন মারা যান। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ জন। তাদের মধ্যে ৮৪ শতাংশই পঙ্গুত্বের শিকার। মারা গেছেন ৬ হাজার ২৮৪ জন। সে হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ১৭ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক সামছুল হক নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে দুটি বিষয়ের ওপর জোর দেন—প্রশিক্ষক নির্ভর লাইসেন্স প্রদান ও গাড়ির ফিটনেস যাচাইয়ের পদ্ধতির সংস্কার। দেশের বাইরে লাইসেন্স প্রদানের উদাহরণ টেনে বলেন, দক্ষ প্রশিক্ষক গড়ে তুলে তাদের অধীনে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে লাইসেন্স দিতে হবে। 

একটি সড়ক দুর্ঘটনার পর তা তদন্তের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সামছুল হক বলেন, একটি বাসের দুজন যাত্রী মারা যায় এবং আরেক বাসের ১৬ জন মারা যান। মুখোমুখি সংঘর্ষের সময়ে যে বাসের ১৬ জন মারা যান সে বাসের সিটগুলো খুলে সব সামনে এসে পড়ে। অপর বাসটির সিটগুলো ঠিক ছিল। তিনি প্রশ্ন করে ফিটনেস ছাড়া গাড়ি কীভাবে সড়কে নামে। যারা এই ধরনের গাড়ির ছাড়পত্র দেয়, তারাও দায়বদ্ধ।  চালকের দায় দুর্ঘটনার মধ্যে থাকতে পারে কিন্তু এতগুলো প্রাণহানি ও ব্যবস্থাপনার যে সমস্যা তাতে অনেকের দায় আছে।

সমন্বয়ক পার্থ সারথি দাসের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক নুরুন্নবী শিমুল, রোড সেফটি অ্যালায়েন্সের প্রতিনিধি আবদুল ওয়াহেদ, মোটর ড্রাইভিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল বাশার প্রমুখ

আরও পড়ুন

এক দিনে রেকর্ড ৯২২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ২

 বিনা পারিশ্রমিকে ১২০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন করলেন ডা. কামরুল