Spoken+Grammar Bundle

 

 

বয়সের কথা চিন্তা করে স্টিভেন স্মিথ রাজি নন। টেস্ট অধিনায়কত্বের সঙ্গে বাড়তি দায়িত্ব নিতে চান না প্যাট কামিন্সও। আর মিচেল মার্শ তো সরাসরিই ‘না’ বলে দিয়েছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) তাহলে কাকে ওয়ানডে অধিনায়ক বানাবে?

হাতে থাকা সেরা বিকল্প ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৫ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহও দেখিয়েছেন। কিন্তু ওয়ার্নারকে নেতৃত্বে আনার জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার গঠনতান্ত্রিক নিয়মের বাধা আছে। এবার সেই বাধা সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সিএ। আগামীকালই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।নাটকীয় কিছু না ঘটলেও ওয়ার্নারই হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক।

গত মাস পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যারন ফিঞ্চ। কিন্তু অনেক দিন ধরে ছন্দে না থাকা এই ব্যাটসম্যান একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া ব্যস্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ম্যাচ না থাকায় ফিঞ্চের উত্তরসূরি নির্ধারণে সময় নিচ্ছে সিএ। প্রথম পছন্দ ছিলেন কামিন্স।

কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়া এই পেসার সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব নিতে রাজি হননি। টেস্ট অধিনায়কত্বের পাশাপাশি ওয়ানডের নেতৃত্ব নিলে চাপ সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করেন কামিন্স।

সাবেক অধিনায়ক স্মিথ রাজি হননি আর কত দিন ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন, সেই অনিশ্চয়তার দোলাচলে ভুগে। ওয়ার্নারকে নেতৃত্বের জন্য ভাবা যায়নি তাঁর নিষেধাজ্ঞার কারণে। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং–কাণ্ডে জড়িয়েছিলেন ওয়ার্নার। তখন সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

বল টেম্পারিংয়ের দায়ে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় ওয়ার্নারকে। পাশাপাশি আজীবনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধিতেও সংযুক্ত করা হয়।

এখন ওয়ার্নারকে নেতৃত্বে ফেরাতে হলে আচরণবিধির সেই ধারা সংশোধন করতে হবে। আগামীকাল বোর্ড মিটিংয়ে পরিচালকেরা এ বিষয়ে কথা বলবেন। সেখানেই ওয়ার্নারের আজীবন নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক সাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।

এ বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান লাচলান হেন্ডারসন বলেন, ‘ডেভিডের নেতৃত্বে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আগে পর্যালোচনা করা হবে। সবাই দেখবে শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না, যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে।’

ওয়ার্নারকে অধিনায়ক বানাতে আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিশ্চিতও করেছেন হেন্ডারসন, ‘আমাদের মনোভাব হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আচরণবিধি পর্যালোচনা করা। দেরি করে আমাদের কারও লাভ নেই। ডেভিডকে ভবিষ্যৎ অধিনায়কের জন্য বিবেচনা করার ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রয়োজনীয়।’

অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নেওয়ার বিষয়ে গত মাসেই আগ্রহ দেখিয়েছেন ওয়ার্নার। ফিঞ্চের জায়গায় নেতৃত্ব নেবেন কি না, জিজ্ঞেস করা হলে সরাসরিই বলেছিলেন, ‘আমার ফোন আছে। বোর্ড চাইলে কথা বলতে পারে। আমিও খুশিমনে কথা বলতে বসতে রাজি।’