Spoken+Grammar Bundle

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গ্রুপ ওয়ানের লড়াই। সেমিফাইনালের দৌড়ে এখন তিন দল নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড নিশ্চিত করে ফেলেছে সেমি, আর আমামীকাল শ্রীলঙ্কাকে হারালেই সেমির টিকিট পাবে ইংল্যান্ড। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।

আজ (শুক্রবার) আফগানিস্তান লড়াই করে শেষ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪ রানে হেরেছে। ২৩ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় ৪৮ রানের ঝড় তুলে অসিদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন রশিদ খান। শেষ ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ২২ রান, এক ছক্কা ও দুই চারে ১৬ রান নেন রশিদ খান। তবে জয় পাইনি তারাম

হাঁফ ছেড়ে বাঁচা জয়ে নিউজিল্যান্ডের সমান ৭ পয়েন্ট হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। এতে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। আগামীকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচ। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলে রানরেটের হিসেব হবে। ইংলিশরা হারলে সেমি নিশ্চিত হবে নিউজিল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার।

অ্যাডিলেডে আজ ১৬৯ রান তাড়া করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবজের ব্যাটে ভালো শুরু পায় আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ৪৭ রান। গুরবাজ ফেরেন ১৭ বলে ৩০ করে।

এরপর বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন গুলবাদিন নাইব। আফগানদের রান তাড়ার আশা অনেকটা সময় বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনিই। নাইবের ব্যাটে চড়ে ১৩ ওভারে ২ উইকেটেই ৯৯ রান তুলে ফেলেছিল আফগানরা।

কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার করা ১৪তম ওভারে ঘুরে যায় ম্যাচ। নাইব ২৩ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৯ করে ম্যাক্সওয়েলের থ্রোতে রানআউট হন। অ্যাডাম জাম্পা ওই ওভারে আফগান দলপতি নবিসহ আরও দুই উইকেট তুলে নেন। ২ উইকেটে ৯৯ থেকে ৬ উইকেটে ১০৩ রানে পরিণত হয় আফগানিস্তান।

সেখান থেকে শেষদিকে এসে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন রশিদ খান। চার-ছক্কার মারে মাঠ গরম করে ফেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। শেষ ওভারে আফগানদের দরকার ছিল ২২। স্টয়নিসের ওই ওভারে রশিদ দুই চার, এক ছক্কা হাঁকালেও দলকে জেতাতে পারেননি।

এর আগে টপঅর্ডারে ঝড় তুললেন মিচেল মার্শ। শেষটা করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু এই দুজন ভালো খেললেও অস্ট্রেলিয়ার পুঁজিটা প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়লো না। শেষ ৫ ওভারে যে মোটে ৩৫ রান তুলতে পারে অসিরা, হারায় ৪ উইকেট।সবমিলিয়ে ৮ উইকেটে ১৬৮ রান তুলতে পারে অস্ট্রেলিয়া।

অ্যাডিলেড ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে চাইছিল তারা। ডেভিড ওয়ার্নার ১৮ বলে করেন ২৫। কিন্তু পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৫২ রান উঠলেও ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অসিরা।

দারুণ খেলছিলেন মিচেল মার্শ। কিন্তু ৩০ বলে ৪৫ করার পর তিনিও আউট হয়ে যান। ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।

সেখান থেকে স্টয়নিস আর ম্যাক্সওয়েল যোগ করেন ২৯ বলে ৫৩ রান। ২১ বলে ২৫ করে স্টয়নিস রশিদ খানের শিকার হলে ভাঙে জুটি। তবে ম্যাক্সওয়েল ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ৩২ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

নাভিন উল হক ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ডেথে এই পেসার ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে অসিদের আটকে রাখেন। ২ উইকেট শিকার করেন ফজলহক ফারুকি।

আরও পড়ুন

সবার আগে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দাপুটে জয়ে বিশ্বকাপে টিকে রইল পাকিস্তান

সুরেশ রায়না, ভারতের ‘বিপদঘণ্টা’ বাজিয়েছে বাংলাদেশ