এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন লিটন দাস। ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দেশের ব্যাটারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেটই ছিল সেরা। বোলিংয়ে নজর কেড়েছে তাসকিন আহমেদ। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার এই পেসারের। এই দুই ত্রিকেটারের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সাবেক কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ইয়ান স্মিথ।
৯০ সালের অকল্যান্ড টেস্ট। ভারতের বিপক্ষে ১৩১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছিলো নিউজিল্যান্ড। তারপর কিউই ব্যাটার ইয়ান স্মিথ উইলো হাতে যা করেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। খেলেন ১৩৬ বলে ১৭৪ রানের টর্নেডো ইনিংস। অতুল ভাসানের এক ওভারে তোলেন ২৪ রান। সেসময় খুব আলোড়ন তুলেছিলো এই উইকেটরক্ষের বিধ্বংসী ইনিংসটি।ইয়ান স্মিথ বরাবরই চাইতেন বোলারদের শাসন করতে। কখনো সফল হয়েছেন, কখনো ব্যর্থ। তবে নিজের স্টাইল বদলাননি। ৮০র দশকের একজন ক্রিকেটারের ৯৯ স্ট্রাইক রেট সে কথাই বলে। বর্তমানে তার ব্যস্ততা কমেন্ট্রি বক্সে। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন প্রতিটি ম্যাচ। বাদ যায়নি বাংলাদেশের খেলাগুলোও।
সাবেক কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইয়ান স্মিথ বলেন, আমার মনে হয়ে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপটি ভালোই গেছে। দুটি ম্যাচও জিতেছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ক্লোজ ছিল। তরুণ কিছু ক্রিকেটার আছে যারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও ভালো করবে।
কিউই এই ক্রিকেটারের নজর কেড়েছেন তাসকিন ও লিটন দাস। তবে মিডল অর্ডারের দৈন্যদশায় হতাশ তিনি। দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আরো ভালো খেলার তাগিদ ইয়ান স্মিথের।
সাবেক কিউই উইকেটরক্ষক ব্যাটার আরও বলেন, ‘তাসকিন ভালো বোলার, ওর বোলিং উপভোগ করেছি। লিটন দাসও অসাধারণ, ভারতের বিপক্ষে ওর ইনিংসটি অনেকদিন মনে থাকবে। তবে তাদের মিডলঅর্ডার নড়বড়ে।’
ক্যারিয়ারে তিনি যেমনটা ছিলেন টাইগারদের কাছেও তেমন ক্রিকেটটাই চান। তবে দলে কার কি দায়িত্ব সেটা বুঝতে পারাটাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন স্মিথ।
ইয়ান স্মিথ বলেন, ‘বাংলাদেশকে আরও স্বাধীনভাবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের আলাদা দায়িত্ব আছে সেটাও তাদের বুঝতে হবে। এটা যত ম্যাচ খেলবে তত ভালোভাবে রপ্ত করতে পারবে।’
টি টোয়েন্টির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরো শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছেন ইয়ান স্মিথ।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টিনার ৩১ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা
বিশ্বকাপে ৬ হাজার আর্জেন্টাইন সমর্থককে স্টেডিয়ামে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা
পথশিশুদের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতির গল্প