Spoken+Grammar Bundle

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়া থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশ এবং ভারত রয়েছে।আইএমএফ এর ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির পরিধি (গ্লোবাল জিডিপি) ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রতিবেশি দেশ ভারত গত বছরের মতোই ষষ্ঠ বৃহত্তম বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থান দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের নিজেদের ৪২তম স্থান থেকে ৪১তম অবস্থানে উঠে এসেছে।

এ বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৩৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক জিডিপির ০.৪% এবং গত বছরের ৪০০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় কিছুটা কম।অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ভুটান ৩ বিলিয়ন জিডিপি নিয়ে সর্বনিম্ন বৈশ্বিক জিডিপির তালিকায় ১৬৩তম স্থানে রয়েছে।

আইএমএফ  বলছে, ২০২২ সালেই বিশ্ব অর্থনীতির আকৃতি (গ্লোবাল জিডিপি) হবে ১০৪ ট্রিলিয়ন ডলার। তালিকায় শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি ২৫.৩ ট্রিলিয়ন, যা বৈশ্বিক মোট জিডিপির চার ভাগের এক ভাগ। ১৯.৯ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এর পরের অবস্থানই চীনের, যা বৈশ্বিক জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ৪.৩ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবচেয়ে বেশি জিডিপি জার্মানির। ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য।দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে সবার ওপরে ব্রাজিল। তালিকায় দেশটির অবস্থান ১০-এ।১.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের জিডিপি নিয়ে ১১তম স্থানে রয়েছে রাশিয়া।

করোনাভাইরাস মহামারির বিশ্বের কয়েকটি ক্ষুদ্রতম অর্থনীতি বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য সরবরাহের ঘাটতির কারণে তা আরও বেশি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তালিকায় সবচেয়ে কম ৬৬ মিলিয়ন ডলারের জিডিপি তুয়াভালুর।তালিকার নিচের ৫০টি দেশের বেশিরভাগকে নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের এবং উদীয়মান/উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিশ্বব্যাংকের মতে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ২০২২ সালে মাথাপিছু আয়ের মাত্রা প্রাক-মহামারি প্রবণতা থেকে প্রায় ৫% কম হবে।২০২২ সালে রাশিয়া জিডিপি বৃদ্ধির হার -৮.৫% মোকাবিলা করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যদিও যুদ্ধের খরচ এবং ক্রমবর্ধমান কঠোর বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞাগুলো কীভাবে দেশটির অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে তা এখনও দেখা বাকি।জানুয়ারিতে ২০২২ সালের জন্য বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪.৪% বলে অনুমান করা হয়েছিল, কিন্তু এখন তা কমিয়ে ৩.৬% করা হয়েছে।

মহামারি-পরবর্তী বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির উন্নতির যে আশা করা হয়েছিল ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তা চাপা পড়ে যাচ্ছে।সাম্প্রতিক সংঘাত, সরবরাহ ব্যবস্থায় বাধা এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনুমানগুলো নিচের দিকে সংশোধিত হচ্ছে।

ট্রিবিউন ডেস্ক